ট্রাইকোডার্মা ভিরিডিঃ পরিবেশ বান্ধব জৈব বালাইনাশক

Tricho-V-ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি সমৃদ্ধ ট্রাইকো-ভি একটি বায়ো-ফানজিসাইড যা উদ্ভিদের রোগ দমন, প্রতিরোধ ও বৃদ্ধি তরান্বিতকরনে সহায়ক।

উপকারিতা:
ক্স    ট্রাইকো ভি একটি জলে দ্রবনণীয় পাউডার যেখানে প্রতি গ্রামে অন্তত ২ী১০ মাত্রায় টাইকোডারমা ভিরিডি বর্তমান।
ক্স    উদ্ভিদের রোগ দমন, প্রতিরোধ ও বৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরনে সহায়ক।
ক্স    ট্রাইকো ভি বীজ তথা মাটি থেকে উৎপন্ন সকল প্রকার ছত্রাক দমনে অত্যন্ত কার্যকরী।

প্রয়োগ পদ্ধতি ও মাত্রা:
বীজ শোধন: বীজ বপনের পূর্বে কেজি প্রতি ১০-১৫ গ্রাম ট্রাইকো ১৫-২৫ মি:লি: পানিতে মিশিয়ে ছায়ায় ভালভাবে বীজের সঙ্গে মিশিয়ে নিন।
চারা শোধন: প্রতি লিটার পানিতে ৫-১০ গ্রাম ট্রাইকো গুলে চারার গোড়া ছায়ায় ১৫-২০ মিনিট ডুবিয়ে রেখে রোপন করুন।
বীজতলা শোধন: প্রতি শতাংশ জমির বীজতলার জন্য ১০০ গ্রাম ট্রাইকো ২৫ লিটার পানিতে গুলে ভালভাবে জমি ভিজিয়ে নিন।
পাতায় স্প্রে: প্রতি লিটার পানিতে ৫-১০ গ্রাম টাইকো ভালোভাবে গুলে পাঁচ মিনিট অপো করলে সাদা তলানী পড়বে। উপরের পানি সাবধানে নিয়ে ফসলের উপর ¯েপ্র করুন। সাদা তলানীটুকু গাছের গোড়ায় মাটিতে মিশিয়ে দিন।
মাটিতে প্রয়োগ করলে: একর (১০০ শতাংশ) প্রতি ২-৩ কেজি ট্রাইকো-ভি ৫০ কেজি পঁচা গোবর কিংবা কম্পোস্টের সাথে মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।

  • ট্রাইকো ভি প্রয়োগ করলে ধসা, পঁচা, পাতা কুঁকরানো এবং যেকোন ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
  • ট্রাইকো ভি গাছের পুষ্টি গ্রহনের মতা বাড়িয়ে দিয়ে গাছের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।

ব্যবহার:
প্রধান ফসল: ধান, গম, পাট, তুলা, আখ, তামাক, ভুট্টা, ডাল, সরিষা, সয়াবিন ও অন্যান্য তৈলজাতীয় শস।
সবজী: আলু, টমেটো, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মটর, মরিচ, ইত্যাদি।
ফলজ গাছ: আম, লিচু, কলা, আনারস, পেঁপে, পেয়ারা, বড়–ই, নারিকেল, ইত্যাদি।
ফুলের বাগান: অর্কিড সহ সকল ধরনের ফুলের চাষে।
মসলা ও ঔষধী গাছ: আদা, রসুন, পেঁয়াজ, হলুদ, স্টেভিয়া, এলোভেরা, তুলসী, পুদিনা, ইত্যাদি।
চা গাছ: চা, কফি, গোলমরিচ, ইত্যাদি।

ট্রাইকোডারমার সাহায্যে দমনকারী রোগসমুহ: সাদা গোড়া পঁচা, গোড়া পঁচা, এনথ্রাকনোজ, ফল পঁচা, পাতা কুঁকড়ানো, পাতা পঁচা, কলার রট, কলার হোয়াইট রট, ডাই বেক, বীজ পঁচা, চারা পঁচা, ডাম্পিং অফ, কান্ড পঁচা, ব্রাউন রট, ক্যাপসুল রট, রাইজোম রট, চারকোল রট, বাদামী দাগ, কর্ণ রট, ড্রাই কর্ণ রট, সকল ধরনের বীজ বাহিত রোগ, কিছু কিছু শস্যের ভাইরাস-জনিত রোগ।
চা গছের ক্ষেত্রে: নার্সারী স্টেজে চা বীজের কলার রট, ডাম্পিং অফ রোগ। কান্ডের য়রোগ ও থরনি স্টেম ব্লাইট। চায়ের শিকড়ের চারকোল স্টাম্প রট, বাদামী শেকড় পঁচা ও কাল শিকড় পঁচা রোগ।

সতর্কতা:
১) স্বাভাবিক বা শীতল তাপমাত্রায় রাখতে হবে।
২) উৎপাদনের তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ব্যবহার করা ভাল।


তথ্যসূত্রঃ এগ্রো ইকোটেক, ফুলবাড়ীয়া, ময়মনসিংহ (০১৬১৭৮৮৮৬১৮)

Leave a Comment

You must be logged in to post a comment.