জীবাণু সার

জীবাণু সার একটি অনুজীবঘটিত সার। জীবাণু সার জীবন্ত অনুজীবের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডল থেকে ডাল ও তৈলজাতীয় ফসলের শিকড়স্থ নডিউলে নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে ফসলকে দিয়ে থাকে। এ সার ডাল ও তৈলজাতীয় ফসল যেমন- মসুর, ছোলা, মুগ, মাসকলাই, বরবটি, সয়াবিন, চীনাবাদাম ইত্যাদিতে নাইট্রোজেন তথা ইউরিয়ার সম্পূর্ণ প্রয়োজন মেটায়।

জীবাণু সার 

জীবাণু সার একটি অনুজীবঘটিত সার। জীবাণু সার জীবন্ত অনুজীবের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডল থেকে ডাল ও তৈল জাতীয় ফসলের শিকড়স্থ নডিউলে নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে ফসলকে দিয়ে থাকে। এ সার ডাল ও তৈল জাতীয় ফসল যেমন- মসুর, ছোলা, মুগ, মাসকলাই, বরবটি, সয়াবিন, চীনাবাদাম ইত্যাদিতে নাইট্রোজেন তথা ইউরিয়ার সম্পূর্ণ প্রয়োজন মেটায়।

বর্তমান ইউরিয়ার বিকল্প হিসেবে যে জীবাণু সার বিনা উদ্ভাবিত হয়েছে এবং উৎপাদিত হচ্ছে ও কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা হচ্ছে তা রাইজোবিয়াম জীবাণু সার।

এ সারের গুণাগুণ:

১। বায়ুমণ্ডল থেকে নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে ফসলের সর্বাধিক প্রয়োজনীয় খাদ্যোপাদান নাইট্রোজেন যোগান দেয়। ফলে ফসলের ফলন বৃদ্ধি পায়। দানায় আমিষের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

২। হরমোন নামের এক প্রকারের উদ্ভিদ বৃদ্ধিকারী জৈব-রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে যা গাছের বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক।

৩। এ সারের জীবাণু ফাইটোটক্সিন নামে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে যা ফসলের রোগব্যাধির জীবাণুকে ধ্বংস করে, ফলে রোগবালাই কম হয় ও ফলন বৃদ্ধি পায়।

৪।  মাটির গুণাবলী উন্নত করে। মাটি চাষবাদের ফলে সাধারণত অম্লবৈশিষ্টের হয়ে যায়।  এ সকল জীবাণুর ক্রিয়ার ফলে কিছু রাসায়নিক পদার্থের নিঃসরণ ঘটে যা মাটির পিএইচ  এর বৃদ্ধি সাধন করে। ফলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।

জীবাণু সারের ব্যবহার পদ্ধতি :

  • প্রতি কেজি বীজের সাথে ৫০ গ্রাম চিটাগুড় মিশিয়ে বীজের গায়ে আঠালো আবরণ তৈরি করতে হবে।
  • আঠালো আয়রণযুক্ত বীজের প্রতিকেজিতে ৫০ গ্রাম হারে জীবাণুসার মেশাতে হবে যাতে করে প্রতিটি বীজের গায়ে জীবাণুসারের একটি কালো আবরণ তৈরি হয়।
  • এ কালো জীবাণুসার আবরণযুক্ত বীজ ঠাণ্ডা সময়ে অর্থাৎ গমমের দিনে সকালে ৯ টার পূর্বে  ও বিকালে ৪ টার পর বপন করা উচিৎ । তাতে করে কোনো জীবাণু অধিক তাপে মারা যাবে না ও ভালো ফলন পাওয়া যাবে। বপনের পর জমিতে ভালোভাবে মই দিতে হবে যেন বীজগুলো মাটির নিচে চলে যায়।
  • বালাইনাশক বা কীটনাশক মেশানো বীজ ধুয়ে সামান্য শুকিয়ে জীবাণু সার প্রয়োগ করতে হবে।

প্রাপ্তিস্থান:

বর্তমানে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এর প্রধান কার্যালয় ময়মনসিংহ ও বিনা উপকেন্দ্র রংপুর, ঈশ্বরদী, মাগুরা, সাতক্ষিরা, কুমিল্লা এবং বিনা এনেক্স ফার্ম জামালপুরে-এ সার পাওয়া যাচ্ছে।

তাছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের জেলা ও উপজেলা অফিসে যোগাযোগ করলে দেশের যে কোনো স্থানের কৃষক এ সার পাবেন।

মূল্য: ৭৫/- প্রতি কেজি।


তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা), ময়মনসিংহ

Leave a Comment

You must be logged in to post a comment.